Drug-addict-study

যে মেয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৭ ঘণ্টা কথা বলত সেই মেয়ের মুখে আর কোন কথা নাই

আশিষ মাস্টার্স কমপ্লিট করেছে কম্পিউটার সাইন্সে। গত তিন বছর থেকে একটি মেয়ের সাথে রিলেশনে জরিয়েছে। এই তিন বছরে মেয়েটির জন্য করেনি কিছু নেই। মেয়েটির হাত খরচের টাকাসহ নিত্যনতুন আবদার সবই মিটিয়েছেন এই তিন বছরে। কিন্তু ঝামেলা লাগে যখন আশিষ মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায়।

মেয়েটির সাফ কথা তাকে মেয়েটির পরিবার মেনে নেবে না। কারণ আশিস কোন সরকারী চাকরী করে না। একটি বেসরকারি চাকরী করে। বেতনও ভালো, কিন্তু মেয়েটির পরিবারের এক কথা, জামাই সরকারী চাকুরীজীবী চাই। মেয়েও পরিবারের বাইরে যাবে না। তাই কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। যে মেয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৭ ঘণ্টা কথা বলত সেই মেয়ের মুখে আর কোন কথা নাই।

আশিসের এখন আর সময় কাটে না, ভাবে এই বুঝি কল আসবে। কল আর আসে না। সময় ও কাটে না। যে পৃথিবী ছিল রঙ্গিন সেই পৃথিবী আজ ধূসর মনে হয়। সময় আর কাটে না, কাজও ভালো লাগে না। তাই চাকরিটা ছেড়ে দেয় আশিস।

এখন আর কি করবে। প্রতিদিন বিকালে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে যায়। বন্ধুরা প্রথমে সিগারেট অফার করে, কিছু দিন পর সিগারেটের সাথে শুকনা পাতার মত কিছু একটা মিসিয়ে খায়। ভালোই লাগে তার। মনটা অন্তত শান্ত থাকে। মনের ব্যথা গুলো সব দূরে চলে যায়। প্রিয়ার কথা অত বেশি মনে পড়ে না। এই ভাবে চলতে চলতে নেশার পরিমাণ এত বেশি বাড়ে এখন তার প্রতিদিন ১৫০০-২০০০ টাকার হিরোইন লাগে।

বন্ধুরা আর এখন আর ফ্রি তে খাওয়ায় না। মা বাবা দুজনই সরকারী চাকুরী করে। মা সন্তানের এই অবস্থা টের পেয়েছেন, কিন্তু সেটা অনেক দেরি হয়ে গেছে। এখন প্রতিদিন তাকে ২০০০ টাকা দিতে হয় হাত খরচের ।
মানসম্মানের একটা ব্যাপার আছে না।
আসুন সচেতন হই।

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *