মনকে ভালো রাখুন
শরীরে অসুখ বাঁধলে যত সহজে উপসর্গ ধরা পড়ে, মনের অসুখ ততটাই আড়ালে থেকে যায়। মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতা জীবন ও জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একটি চাপহীন ও রোগহীন সুখী জীবনের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার বিকল্প নেই।
কোনো কোনো মানসিক সমস্যা জিনগত হতে পারে। আবার জীবন যাপনে চাপ, ঘুম, ব্যায়াম, পর্যাপ্ত আলো ও যত্নের অভাব থেকেও মানসিক অসুস্থতা দেখা দেয়।
জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিব্যথা হলে দ্রুত ওষুধ কিংবা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন অনেকেই। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে এমন সচেতনতা খুব কমই দেখা যায়।
নিয়মিত দাঁত মাজা, গোসল করা, খাবার খাওয়ার মত আরও কিছু অভ্যাস আছে, যা সুস্থ মনের জন্য খুব দরকারি।
মন স্থির করতে মেডিটেশন
প্রতিদিন কয়েক মিনিট মনোযোগের সঙ্গে মেডিটেশন করতে হবে। এই অভ্যাস নিজেকে নমনীয় রাখবে, মানসিক চাপ কমাবে এবং আত্মসচেতনতা বোধ বাড়িয়ে দেবে।
শরীরচর্চার বিকল্প নেই
যে ব্যায়াম করতে ভালো লাগে, তাই করতে হবে; হতে পারে হাঁটা, যোগাসন অথবা ভরপুর শরীরচর্চা। ব্যায়াম করলে শারীরিক ও মানসিক ব্যথা উপশমকারী এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ ঘটে। এতে মন প্রফুল্ল থাকে।
ঘুম শুধু ঘুম
অন্তত আট ঘণ্টা গভীর ঘুম দিতে হবে রাতে। প্রতিদিনের ঝামেলা সামলাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম খুব জরুরি।
নারীর মানসিক স্বাস্থ্য: পরিসংখ্যান কী বলছে?
শৈশব কাটছে টিভি-ফোনে, স্ক্রিন আসক্তি কাটবে কীসে?
বন্ধুসঙ্গ উপভোগ
পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্কের যত্ন করতে হবে। ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে সময় কাটালে মানসিক দৃঢ়তা বাড়ে। এতে সামাজিক যোগাযোগ আরও পোক্ত হয়।
পরিমিত স্ক্রিন টাইম
প্রতিদিন কতক্ষণ সোশাল মিডিয়ায় সময় কাটাবেন তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খবর দেখা, শোনা ও পড়াও থাকবে সীমার মধ্যে। কারণ অতিরিক্ত নেতিবাচক তথ্য মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
ধন্যবাদ দিন
ডায়েরি লেখার মত অভ্যাসে ফেরা যায়। প্রতিদিনের এমন কোনো তিনটি ঘটনা লিখে রাখুন যা মনের মধ্যে কৃতজ্ঞতা বোধ জাগিয়ে তোলে। এতে করে চিন্তাভাবনা ইতিবাচক হয়।
নতুন কিছু শেখা
নতুন কিছু শেখা ও তাতে দক্ষতা বাড়ানোতে মনোযোগ দিতে হবে। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বজায় থাকবে।
রুটিন মেনে চলা
কাজ, বিশ্রাম, নিজের যত্ন এসব কিছু একটি রুটিন মেনে করা ভালো। এতে করে প্রতিদিনের অনিশ্চয়তা কাটিয়ে জীবন ফিরে পাবে ছন্দ।
নিজেকে প্রকাশ
ছবি আঁকা, লেখা অথবা গানের মধ্যে দিয়ে নিজের আবেগ প্রকাশ করতে হবে। এই অভ্যাস এক রকম থেরাপির মত কাজ করে।
চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন
যদি মনের দিক থেকে নিজেকে বেসামাল মনে হয়, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতে দ্বিধা করা যাবে না। সুস্থ থাকতে কাউন্সেলিং, থেরাপি খুবই কার্যকর।
-সংগৃহীত
আরো দেখুন