সিজোফ্রেনিয়া
রোগী: আমার রোগীর কি রোগ হয়েছে?
স্যার: আপনার রোগীর একটি মানসিক রোগ হয়েছে, যার নাম সিজোফ্রেনিয়া।
রোগী: স্যার যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন, এই রোগের নাম ত কোনদিন শুনি নাই
স্যার: না শুনারই কথা, এই রোগ প্রতি ১০০ জনে ১ জনের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি একটি গুরুতর মানসিক রোগ। এই রোগে রোগীর স্বাভাবিক চিন্তা ভাবনার ব্যাপক পরিবর্তন হয়। রোগী কাছের মানুষকে সন্দেহ করা শুরু করে অযাচিত ভয় পায়, সবসময় বিশ্বাস করতে থাকে যে কেও তার ক্ষতি করবে। অনেক সময় খাওয়াদাওয়া বাদ দেয়। নিজের যত্ন নেয় না, ঘুমের পরিবর্তন আসে। এছাড়াও রাগ করা, বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়া, রাস্তার খাবার কুরিয়ে খেতে পারে। রোগীরা একা একা কথা বলে, একা একা হাসে।
রোগী: এই রোগ কি মাথার সমস্যার কারনে হয়?
স্যার: এই সমস্যা মাথার ভিতর থেকে ই হয়। কিন্তু, সাধারণ যে সকল পরীক্ষা নিরিক্ষা আমরা করে থাকি তাতে অনেক সময় ধরা পরে না।
রোগী: কি বলেন স্যার মাথার সমস্যা পরীক্ষায় ধরা পরে না?
স্যারঃ আপনি ঠিক ই ধরেছেন, এই রোগে মাথার নিউরোট্রান্সমিটার নামক এক ধরনের কেমিকেল ব্রেইনে থাকে তার পরিবর্তন ঘটে।
রোগী: নিউরোট্রান্সমিটার বুঝি নাই।
স্যার: নিউরোট্রান্সমিটার এক ধরনের ক্যামিকেল যার কম অথবা বেশি হলে বিভিন্ন মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।
রোগী: এই রোগ কি ভালো হয়?
স্যার: ভালো হয় কিনা এই উত্তর এক কথায় দেওয়া মুস্কিল।তবে একটি উদাহারন দিলে বুঝবেন এই রোগ টি ডায়বেটিস এর মতোই প্রায়। ডায়াবেটিস যেমন একবার হলে একে নিয়ত্রনে রাখতে হয় তেমনি এই রোগ ও নিয়ত্রনে রাখতে হয়। এর জন্য প্রয়োজন নিয়মিত ওষুধ সেবন ও পরিচর্যা।তবে মাথায় রাখতে হবে ৩৩% নিয়ম। এই রোগের রোগীরা ওষুধ খেয়ে ৩৩% সম্পুর্ন সুস্থ থাকতে পারে , ৩৩% ওষুধ খেয়ে মোটামুটি সুস্থ থাকে , বাকি ৩৩% ওষুধে আশানুরুপ উন্নতি দেখা যায় না।
রোগী: স্যার এই রোগের চিকিৎসা কি নাই ?
স্যার: জি অবশ্যই আছে। এন্টিসাইকোটিক নামক ওষুধ দ্বারা এর চিকিৎসা করা করা হয়।
রোগী; এই ওষুধ খেলে কি শুধু ঘুমায়?
স্যার: সবার ধারনা একই। এমন কি অনেক ডাক্তার রাও মনে করেন মানসিক রোগের ওষুধ খেলে রোগীরা শুধু ঘুমায়, কথাটা কিছুটা সত্য কিন্ত পুরোটা সত্য না, মানসিক রোগীর সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় ঘুমে, তাই কিছু ওষুধ দেওয়া হয় ঘুমের, এটা ঠিক কিন্তু সব ওষুধ ই ঘুমের এটা ঠিক না, আর মানুষের মাথা ঠান্ডা থাকলে মানুষের ঘুম ভালো হবে এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
রোগী: কত দিন ওষূধ খাবে?
স্যার: ওষুধ কত দিন খাবে এটা নির্ভর করে রোগের উপর, তবে কমপক্ষে ২ থেকে ৬ বছর, কোন কোন ক্ষেত্রে এর বেশি লাগতে পারে ।
বাইপোলার মুড ডিসঅর্ডার (ম্যানিক ফেজ)
রোগী: আমার রোগীর কি রোগ হয়েছে?
স্যার: আপনার রোগীর একটি মানসিক রোগ হয়েছে , যার নাম বাইপোলার মুড ডিসঅর্ডার ম্যানিয়া বলে ।
রোগী: স্যার যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন, এই রোগের নাম ত কোনদিন শুনি নাই।
স্যার: না শুনারই কথা, এই রোগ প্রতি ১০০ জনে ১ জনের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।এটি একটি গুরুতর মানসিক রোগ। এই রোগে রোগীর স্বাভাবিক চিন্তা ভাবনার ব্যাপক পরিবর্তন হয়। রোগী বেশি বেশি কথা বলে। রাতে এবং দিনে কখনোই ঘুমাতে চায় না। এমন কি তিন চার রাত জেগে থাকে। না ঘুমিয়েও রোগী অনেক ভাল থাকে। রোগীরা অনেক সময় অনেক বেশি কাজ করতে চায় । অনেক অপ্রোয়জনীয় কাজও করে থাকে। কেও কেও অতিরিক্ত সাজ গোজ , টাকা পয়সা খরচ করে থাকে। তাদের কাজে বাধা দিলে তারা খুব ই বিরক্ত হয়য় । নিজে যা করে যা বুঝে তাই ঠিক মনে করে । তার বুদ্ধিমত্তার কাছে আর কারও বুদ্ধি ঘাটে না ।কারো কারো কিছু নির্দিষ্ট লক্ষে কাজ করে, যেমন বিয়ে করতে চাওয়া, নতুন ব্যবসয়া শুরু করা, আবার কেও বেশি বেশি ধর্মীয় কাজে যুক্ত হয়য় এবং ফ্যামিলি মেম্বার দের কে ফোর্স করে ধর্মীয় অনুশাসন মানার জন্য।নিজেকে অনেক বড় মনে করাও এই রোগের অন্যতম একটি লক্ষন
রোগী: এই রোগ কি মাথার সমস্যার কারনে হয়।
স্যার: এই সমস্যা মাথার ভিতর থেকে ই হয়। কিন্তু ,সাধারন যে সকল পরীক্ষা নিরিক্ষা আমরা করে থাকি তাতে অনেক সময় ধরা পরে না।
রোগী: কি বলেন স্যার মাথার সমস্যা পরীক্ষায় ধরা পরে না ?
স্যার: আপনি ঠিক ই ধরেছেন, এই রোগে মাথার নিউরোট্রান্সমিটার নামক এক ধরনের কেমিকেল ব্রেইনে থাকে তার পরিবর্তন ঘটে।
রোগী: নিউরোট্রান্সমিটার বুঝি নাই।
স্যার: নিউরোট্রান্সমিটার এক ধরনের ক্যামিকেল যার কম অথবা বেশি হলে বিভিন্ন মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।
রোগী: এই রোগ কি ভালো হয়?
স্যার: এই রোগের নাম ই বাইপোলার ডিস অর্ডার, এই রোগে ২ টা রোগের সমন্নয় ঘটে একটা ম্যানিয়া মানে হাসিখুশি, আরেকটা ডিপ্রেশন (মন খারাপ) পর্যায়। আপনার রোগী এখন ম্যানিক ফেজ এ আছে।
রোগী: স্যার এই রোগের চিকিৎসা কি নাই ?
স্যার: জি অবশ্যই আছে। এন্টিসাইকোটিক এবং মুড স্টাবিলাইজার নামক ওষুধ দ্বারা এর চিকিৎসা করা করা হয়।
রোগী: এই ওষুধ খেলে কি শুধু ঘুমায়?
স্যার: সবার ধারনা একই। এমন কি অনেক ডাক্তার রাও মনে করেন মানসিক রোগের ওষুধ খেলে রোগীরা শুধু ঘুমায়, কথাটা কিছুটা সত্য কিন্ত পুরোটা সত্য না, মানসিক রোগীর সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় ঘুমে, তাই কিছু ওষুধ দেওয়া হয় ঘুমের, এটা ঠিক কিন্তু সব ওষুধ ই ঘুমের এটা ঠিক না, আর মানুষের মাথা ঠান্ডা থাকলে মানুষের ঘুম ভালো হবে এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
রোগী: কত দিন ওষূধ খাবে?
স্যার: ওষুধ কত দিন খাবে এটা নির্ভর করে রোগের উপর, তবে কমপক্ষে ৬ থেকে ২ বছর , কোন কোন ক্ষেত্রে এর বেশি লাগতে পারে ।